মি. ডিপেন্ডেবল’ অভিধা এমনি এমনি পাননি মুশফিকুর রহিম। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের সময় একা বুক চিতিয়ে লড়াই করাটাকে অভ্যাসে পরিণত করেছেন তিনি।
টাইগারদের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ঢাকা টেস্টে প্রথম দিনের পর দ্বিতীয় দিনেও একা বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন মুশফিকুর রগি,।ঢাকা টেস্টে প্রথম দিনে মাত্র ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ঐতিহাসিক জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে বড় স্কোরের স্বপ্নও দেখান তিনি।
দ্বিতীয় দিনের সকালে লংকান পেসারদের তোপে দল যখন আবার বিপদে পড়ল, আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাসও যখন সাজঘরে ফিরে যান, তখনও মুশফিক একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে গেছেন। তার বীরত্বেই টাইগারদের শেষ পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে। ১১৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা মুশফিক ইনিংস শেষে ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ৫ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। আগের দিনের ১৩৫ রানের সঙ্গে এদিন আর ৬ রান যোগ করেই কাসুন রাজিথার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন। তার সংগ্রহ ছিল ২৪৬ বলে ১৪১ রান।
লিটন ফেরার দুই বল পরেই প্রায় তিন বছর পর টেস্ট দলে ফেরা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন রানের খাতা না খুলেই। রাজিথার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে খোঁচা মেরে প্রত্যাবর্তনকে বিষাদময় করেছেন তিনি।
এর পর লেজের দিকের ব্যাটারদের নিয়ে মুশফিক লড়াই করে গেছেন। তাইজুল ভালো সঙ্গ দিলেও ৩৭ বলে ১৫ করে তিনিও ফিরে যান লাঞ্চের আগে।
শেষ উইকেটে এবাদতের সঙ্গে ৫৬ বলে ১৬ রান করেন মুশফিক।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।